আমি এখানে আমার কাজের পাশাপাশি একটা কোম্পানীতে ৮ ঘন্টার চাকুরী নিয়েছিলাম । আমাকে সাবস্টোরে দেয়া হইছিলো । তাতে আমাকে কেমিক্যাল টাচ করতে হইতো । আর কেমিক্যাল আমার সহ্য হয় না ! ডিউটি আমার হাফ অফিসিয়াল ছিলো ।
তাতে আমার কাপড়ে কেমিক্যাল ও ডাইস লাগতো ! খুব ঝামেলা গেছে ২ মাস !
এই দুই মাসে আমাকে ম্যানেজার যথেষ্ট পছন্দ করেছিলেন ।
বলি ,
মাত্র ২ মাসে একজন পুরাতন লোক (প্রায় ১২ বছর থেকে এখানে কাজ করে) আমার নামে অনেক ক্লেইম করে আমার অগোচরে ।
এটা করছে তার কারণ আছে । বলছি ...।
তো ম্যানেজার আমার বিরুদ্ধে করা ক্লেইমগুলো বিশ্বাসই করে নাই । সে আমাকে ফোন করে তার সামনেই সেগুলা আমার কাছে জানতে চাইলো ।
আমি বুঝতে পারলাম যে এগুলা আমার নামে সব মিথ্যাচার । আমি অস্বীকার করলাম । কমপ্লেইনকারীর মাথা নিচু হয়ে গেলো । সে ভাবে নাই ম্যানেজার এমন করবে !
ম্যানেজারের বাড়ী জামাল্পুর । আমাকে মাত্র ২ মাস ধরে চেনে ।
কারণটা বলি ,
ম্যানেজার আমাকে প্রোমোশোন দিবে এটা ছড়াছড়ি হইছিলো । এটা ওরা মানতে পারে নাই । কারন ওরা অনেক পুরাতন ।
ম্যানেজার তো আর এমনি হয় নাই । সে যোগ্যতার দাম বুঝে ।
যাক । একজন ছিলো যে এমবিএ কমপ্লিট করে পদটা ছেড়েছে । অন্যত্র চাকরী নিয়েছে । ৬৫ হাজার টাকা স্যালারীতে ! এখানে তার বেতন ছিলো ১৭ হাজার টাকা ।
মূলত তার পদটাই আমি পেয়েছি ।
বুঝলাম মানুষ কত চক্রান্ত করতে পারে ।
আমি তো বোকা ছিলাম আগে । খুব বোকা ।
যাক । ৮-৫ টা ডিউটি করছি এখন । নিজের এলাকায় ফিরে আসারও চেষ্টা করছি ।
আগে যে আমার বস ছিলো এখন তার্ব কিছু কাজ করতে আমার পারমিশন লাগে !
নাহ । আমি কিন্তু সম্মান করি ।